ধনে বিতর্কিত! যারা এটা ভালোবাসে এবং যারা এটা ঘৃণা করে তারা আছে। কিন্তু আপনি যদি ধনে পছন্দ করেন তাদের দলে থাকেন, তাহলে আমাদের এই পোস্টে যোগ দিন কারণ আজকে আপনি অবশেষে শিখবেন কিভাবে ধনে রোপণ করতে হয় এবং যত্ন নিতে হয়।

ভাল তাই না? তাই আপনি ইতিমধ্যে সমস্ত টিপস চেক আউট করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে.

ধনিয়ার বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার

ধনিয়া এমনকি পার্সলেতে বিভ্রান্ত হতে পারে, তবে প্রথমেই। ঠিক আছে, পার্থক্য দেখতে আপনাকে যা করতে হবে তা হল সুগন্ধের গন্ধ।

ধনিয়ার গন্ধ এবং গন্ধ দুটোই শক্তিশালী এবং আকর্ষণীয়। তিনি একটি প্রস্তুতিতে শো চুরি করতে সক্ষম, তাই প্রতিটি রেসিপিতে ব্যবহার করা পরিমাণের ভারসাম্য কীভাবে বজায় রাখা যায় তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।

ধনিয়া এশিয়া এবং ভূমধ্যসাগরের কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলের স্থানীয়। যাইহোক, ব্রাজিলের উষ্ণ, গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু এটিকে ধনে চাষের জন্য একটি উপযুক্ত আশ্রয়স্থল করে তুলেছে।

এবং এই এবং অন্যান্য কারণে, ধনিয়া ব্যাপকভাবে প্রাচ্যের রন্ধনপ্রণালীতে, উত্তর-পূর্ব রন্ধনপ্রণালীতে এবং মাছ ও সামুদ্রিক খাবার তৈরিতে, ভূমধ্যসাগরের সাধারণ খাবারে ব্যবহৃত হয়।

ধনিয়ার উপকারিতা

ধনেকে কম মূল্যায়ন করবেন না। তিনি আপনার কল্পনার চেয়ে অনেক বেশি পুষ্টিকর। উদ্ভিদ, শুধু আপনাকে একটি ধারণা দিতে, মানবজাতি দ্বারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিচিত ঔষধি বৈশিষ্ট্য আছে.

উদাহরণস্বরূপ, মিশরীয় লোকেরা পেট এবং হজমের সমস্যা এবং ব্যথার জন্য ধনে ব্যবহার করত।জয়েন্টগুলোতে প্রাচীন গ্রীস ও রোমেও একই কথা সত্য ছিল।

ধনে মূত্রবর্ধক, উদ্দীপক, টনিক, সতেজ এবং এমনকি কামোদ্দীপক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

পটাসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়ামের মতো শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ করার পাশাপাশি উদ্ভিদ ভিটামিন C এবং K-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এবং সমস্ত উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবারের মতো, ধনেপাতাও ফাইবার সমৃদ্ধ।

ধনিয়ার এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলি হজম প্রক্রিয়ার উন্নতির পাশাপাশি এটিকে লিভার এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য একটি দুর্দান্ত সহযোগী করে তোলে।

ধনিয়া ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে, রক্তাল্পতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে, খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে, স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে এবং এমনকি শরীরকে ভারী ধাতু থেকে নিজেকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করার ক্ষমতার জন্যও স্বীকৃত।

এবং আপনি কি জানেন যে ধনেতেও প্রদাহরোধী কাজ আছে? সুতরাং এটাই! এই বৈশিষ্ট্যটি উদ্ভিদটিকে মাউথওয়াশ এবং এন্টিসেপটিক্সে ব্যবহৃত করে তোলে।

কিভাবে ধনিয়া রোপণ করবেন: ফুলদানিতে, ফুলের বিছানায় এমনকি পোষ্যের বোতলেও

সেরা ধনে রোপণের উপায়, পাত্রে হোক বা ফুলের বিছানায়, বীজের মাধ্যমে। কিন্তু চারা সম্পর্কে কি, আপনি না?

ধনিয়া হল এমন এক ধরনের উদ্ভিদ যা প্রতিস্থাপনের সাথে খুব একটা খাপ খায় না কারণ এর পাতলা এবং সূক্ষ্ম শিকড় রয়েছে। অতএব, বীজ সবচেয়ে উপযুক্ত।

আপনি বাগান এবং কৃষি পণ্যের দোকানে ধনিয়া বীজ কিনতে পারেন, যদিও আজকাল সুপারমার্কেটেও সবজির বীজ পাওয়া সম্ভব।

আরেকটি বিকল্প হল ইতিমধ্যে পরিপক্ক সিলান্ট্রো গাছের বীজ সংগ্রহ করা। এই ক্ষেত্রে, তবে, রোপণের আগে আপনাকে বীজ শুকাতে দিতে হবে।

বীজ হাতে নিয়ে, পরবর্তী ধাপ হল মাটি প্রস্তুত করা। তবে প্রথমে, এটি একটি টিপ মূল্যবান: বীজতলায় ধনে বপন করা প্রয়োজন হয় না, যেহেতু এটি প্রতিস্থাপন করা উচিত নয়, এটি সরাসরি চূড়ান্ত জায়গায় রোপণ করুন।

ধনেপাতার জন্য আদর্শ মাটি উর্বর এবং সুনিষ্কাশিত (পাত্রে ধনিয়া রোপণের ক্ষেত্রে)। পাত্রের ভিতরে একটি ভাল নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখুন। এর জন্য, প্রসারিত কাদামাটি, কাঠকয়লা বা বাগানের কম্বল দিয়ে নীচে আস্তরণের চেয়ে ভাল কিছুই নয়।

একটি ভাল টিপ হল এক অংশ সাধারণ মাটিকে এক অংশ সাবস্ট্রেটের সাথে মিশ্রিত করা।

ফুলদানি প্রস্তুত করে, বীজ পেতে প্রায় 1.5 সেন্টিমিটার ছোট ডিম্পল তৈরি করে শুরু করুন। প্রতিটি গর্তে প্রায় তিনটি বীজ রাখুন। একটি গর্ত এবং অন্য পিটের মধ্যে দূরত্ব কমপক্ষে 5 সেমি হওয়া উচিত। তারপর, বীজের উপর মাটির একটি পাতলা স্তর ছেঁকে নিন। তাদের হালকাভাবে ঢেকে রাখার জন্য যথেষ্ট কিন্তু তাদের কবর দেওয়া নয়।

পাত্র বা বিছানাকে অন্তত ৪ ঘণ্টা সরাসরি সূর্যালোক সহ একটি ভালো আলোকিত জায়গায় রাখুনদিন. খুব গরম দিনে, একটি ছায়াযুক্ত জায়গায় ফুলদানি রক্ষা করুন।

7 থেকে 10 দিনের মধ্যে, বীজ অঙ্কুরিত হতে শুরু করবে। প্রায় 30 থেকে 40 দিন পরে আপনি আপনার ধনেপাতার প্রথম পাতা সংগ্রহ করতে পারেন।

ধনিয়া রোপণের প্রক্রিয়া একই, আপনি এটির জন্য যে জায়গাই বেছে নিন না কেন, তা ফুলদানি, ফুলের বিছানা বা এমনকি পোষা বোতলই হোক।

তবে এটা উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে যে ফুলদানি বা পাত্রে ধনে রোপণ করা হবে তা আদর্শভাবে কমপক্ষে 20 থেকে 30 সেন্টিমিটার গভীর হওয়া উচিত।

আপনি কি শিকড় দিয়ে ধনে রোপণ করতে পারেন?

অনেকে বাজারে বা সুপারমার্কেটে ধনিয়ার একটি শাখা নিয়ে শিকড় ভর্তি করে এবং শেষ পর্যন্ত ভাবতে থাকে যে এটি পুনরায় ব্যবহার করা এবং রোপণ করা সম্ভব কি না। .

উত্তর হল হ্যাঁ! যাইহোক, এই পদ্ধতি সবসময় সাফল্যের একটি গ্যারান্টি নয়। মনে আছে আমরা বলেছিলাম যে ধনে মূল উপাদেয়, তাই না?

তবে আপনি একটি ফুলদানিতে ধনে শিকড় লাগানোর চেষ্টা করতে পারেন। এটি করার জন্য, পাতাগুলি কেটে নিন এবং মূলের সাথে বেসটি সংরক্ষণ করুন। তারপরে ভাল মানের মাটি দিয়ে একটি ফুলদানি পূরণ করুন, তারপর ধনিয়া চারা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট বড় গর্ত করুন।

গাছটিকে গর্তে রাখুন, মাটি দিয়ে ঢেকে দিন এবং মাটিতে কম্প্যাক্ট করতে আপনার আঙ্গুলের ডগা দিয়ে হালকা চাপ দিন।

এটি হয়ে গেলে, শুধু জল দিন এবং আপনার নতুন ধনে গাছের যত্ন নিন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, কয়েক দিনের মধ্যে আপনি ইতিমধ্যে প্রথম অঙ্কুরগুলি লক্ষ্য করতে সক্ষম হবেন।

কিভাবেধনিয়ার যত্ন নেওয়া

আলো এবং তাপমাত্রা

ধনিয়া হালকা এবং তাপমাত্রার ক্ষেত্রে কিছুটা বমি বমি ভাব করে। গাছটি ঠান্ডা এবং আরও আর্দ্র আবহাওয়ায় ভাল প্রতিক্রিয়া দেখায় না, বিশেষ করে যখন তাপমাত্রা 18ºC এর নিচে থাকে।

অঙ্কুরোদগমের সময়, তাপমাত্রা 20ºC এর নিচে হতে পারে না, অন্যথায় বীজ পরিপক্ক হবে না। অতএব, সবচেয়ে বাঞ্ছনীয় জিনিস হল বসন্ত এবং শরৎ মাসে ধনিয়া রোপণ করা।

একবার "বাছাই করা", ধনেপাতা 18º এবং 25ºC এর মধ্যে পরিবর্তনের জন্য ভালোভাবে প্রতিরোধ করে।

কিন্তু আলো পর্যাপ্ত না হলে গাছের জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা থাকার কোন মানে হয় না।

তাপ উপভোগ করার পাশাপাশি, দিনে অন্তত 4 ঘন্টা ধনে সরাসরি সূর্যালোক প্রয়োজন। তাই বাড়ির ভিতরে গাছটি বাড়ানোর চেষ্টা করবেন না, কারণ এটি এগিয়ে যাবে না।

সিলান্ট্রো ফুলদানি রাখার একটি ভাল জায়গা, যদি আপনি একটি অ্যাপার্টমেন্টে বা বাড়ির উঠোন ছাড়া বাড়িতে থাকেন, বারান্দায় বা প্রাচীর থেকে ঝুলিয়ে রাখা হয়। যাইহোক, বাড়িতে একটি উল্লম্ব বাগান স্থাপন করার জন্য এটি আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ।

মনে রাখা: ধনেপাতা যত বেশি সূর্যালোক পাবে, গাছের গন্ধ এবং গন্ধ তত তীব্র হবে।

জল দেওয়া

ধনিয়া জল দেওয়ার দিকেও আপনাকে মনোযোগ দিতে হবে। খুব বেশি জল খুব কম জলের মতোই খারাপ।

আদর্শ হল জল দেওয়ার আগে মাটি পর্যবেক্ষণ করাআবার উদ্ভিদ। ধনেপাতা সামান্য আর্দ্র মাটি পছন্দ করে, কখনই শুকনো বা ভেজা মাটি নয়।

তাই আগে থেকেই মাটির আর্দ্রতার মাত্রা সবসময় পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ৷

নিষিক্তকরণ

ধনে ধনে স্থির নিষেকের প্রয়োজন হয় না। আপনি প্রতি দুই বা তিন মাস পর পর কিছুটা জৈব সার দিতে পারেন, যেমন কৃমি হুমাস বা মুরগির সার, উদাহরণস্বরূপ।

ফসল কাটার সময়

বপনের 50 দিন বা তার পরে ধনে কাটা শুরু হয়। পাতা সংগ্রহ করার সময়, সর্বদা সবচেয়ে লম্বাগুলি কাটতে পছন্দ করুন এবং নীচের অংশগুলিকে বিকাশ করতে দিন।

একটি গুরুত্বপূর্ণ টিপ: ধনে পাতা বেশি কাটাবেন না, শুধুমাত্র সেগুলিই কাটতে পছন্দ করুন যা আপনাকে এই মুহূর্তে ব্যবহার করতে হবে।

এর দুটি কারণ রয়েছে৷ প্রথমটি হল ধনিয়া ধীরে ধীরে ফসল কাটার পরে তার বৈশিষ্ট্য হারায়, এছাড়াও স্বাদ এবং গন্ধও হারায়।

আরেকটি সমস্যা হল যখন অনেক ধনে পাতা অপসারণ করা হয়, এটি শক্তি এবং শক্তি হারায়, যার ফলে পা দুর্বল হয়ে যায়।

আপনি যখন প্রথম ফুলের উপস্থিতি লক্ষ্য করেন, তখন আপনি বীজ সংগ্রহের জন্য গাছে রাখতে পারেন বা এমনকি কেটে ফেলতে পারেন যাতে ধনিয়া তার বিকাশ অব্যাহত রাখে।

কিভাবে রান্নায় ধনে ব্যবহার করবেন

ধনিয়ার একটি অসাধারণ গন্ধ এবং সুগন্ধ রয়েছে, তাই এটি বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত নয় যাতে এটি খুব বেশি আলাদা না হয়।

আপনি বেছে নিতে পারেনবীজ থেকে প্রাপ্ত ধনে গুঁড়া এবং তাজা ধনে উভয়ই ব্যবহার করুন।

সুগন্ধি ভেষজ মাছ এবং সামুদ্রিক খাবারের সাথে খুব ভালভাবে যায়, তা সেদ্ধ, সেদ্ধ বা স্টিউ করা হোক না কেন।

সালাদে কাঁচা হওয়া ছাড়াও ধনেশাক ডাল ও সবজি দিয়ে প্রস্তুতি বাড়ায়।

যে প্রস্তুতিতে গোলমরিচ ব্যবহার করা হয় সেগুলোও ধনেপাতার সাথে মেশানো হয়।

এটা উল্লেখ করার মতো যে ধনিয়া যখন ভিনেগার, তেল, মাখন এবং ঝোলের স্বাদ নিতে ব্যবহার করা হয় তখন এটি নিখুঁত।

আপনি কি সব টিপস লিখে রেখেছেন? এখন শুধু সেখানে যান এবং আপনার ধনিয়া বীজ লাগান।